1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্যজার্মানি

বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা

২৯ এপ্রিল ২০২৪

বাইপাস সার্জারির জন্য শরীরের অন্য অংশ থেকে রক্তনালী নেন সার্জনরা৷ তবে অনেকসময় এমন হয় যখন রোগীর শরীরে উপযুক্ত রক্তনালী পাওয়া যায় না৷ তাই অনেকদিন ধরেই কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/4fJ6I
Infografik Herz 2 Bypass surgery ENG

জার্মানির কিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে৷ কয়েক বছরের মধ্যে এমন রক্তনালী বাজারে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷

ভাস্কুলার সার্জন ডা. রুফেন ব্যার্ন্ট বলেন, ‘‘কৃত্রিম ধমনী দিয়ে অস্ত্রোপচার অনেক পুরনো এক স্বপ্ন৷ কার্ডিওভাস্কুলার সার্জন হিসেবে আপনি অবশ্যই এমন এক অবস্থার মুখোমুখি হবেন যখন আপনি রোগীকে সুস্থ করতে চাইবেন, কিন্তু হৃদযন্ত্র বা পায়ে বাইপাস সার্জারির জন্য উপযুক্ত উপাদান খুঁজে পাবেন না৷ তাই অনেকদিন ধরে গবেষণাগারে বায়োআর্টিফিসিয়াল ধমনী সৃষ্টির চেষ্টা চলছে৷ সেটি সম্ভব হলে আমরা যেসব রোগীর শরীরে বাইপাস সার্জারি করার জন্য উপযুক্ত রক্তনালী নেই তাদেরও সার্জারি করতে পারবো৷''

একটি প্রিন্টার দিয়ে একইসঙ্গে দুটি তরল চেপে বায়োমেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা নমনীয় এক নল তৈরির পরিকল্পনা করছেন গবেষকেরা৷

তরলগুলোর মধ্যে একটি তথাকথিত ‘বায়োইঙ্ক'৷ এটি এক ধরনের জৈব কালি, যা মানুষের ভাস্কুলার কোষসমৃদ্ধ৷ এর ভিত্তি হলো ‘অ্যালজিনেট', যেটি বাদামি শেওলা দিয়ে তৈরি হয়৷ হিউম্যান বায়োলজিস্ট মার্টিন আলব্রেশট বলেন, ‘‘অ্যালজিনেটের সমস্যা হলো, কোষগুলো এর সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত হতে পারে না৷ সে কারণে আমরা পেপটাইড যোগ করি, যেটা একধরনের প্রোটিন৷ কোষগুলো পেপটাইডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে৷ এছাড়া পেপটাইড কোষকে সংকেত পাঠাতে পারে বলে কোষগুলো বেঁচে থাকতে ও বংশবৃদ্ধি করতে পারে৷''

শুরুতে সাধারণ থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করলেও গবেষকদল এখন একটি রোবটের হাত ব্যবহার করছেন, যার সঙ্গে বিশেষভাবে তৈরি দুই চেম্বারবিশিষ্ট প্রিন্টহেড যুক্ত রয়েছে৷ একটি চেম্বারে থাকে বায়োইঙ্ক, অন্যটিতে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড৷

বাইপাস সার্জারির প্রয়োজনে কৃত্রিম রক্তনালী

গবেষকেরা ইতিমধ্যে অসংখ্যবার পরীক্ষামূলক প্রিন্ট করেছেন৷ প্রিন্ট হওয়া বাইপাসের পুরুত্ব যেন সব জায়গায় একই থাকে সেটা নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ৷

কৃত্রিমভাবে তৈরি বাইপাস যতটা সম্ভব অপরিবর্তনশীল হতে হবে যেন তা রোগীর শরীরে কয়েক দশক কার্যকর থাকতে পারে৷

প্রিন্ট হওয়ার পর বাইপাসকে কয়েকদিনের জন্য ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার পুষ্টিকর দ্রবণে চুবিয়ে রাখতে হবে৷ সেল বায়োলজিস্ট কারিনা সিট্টা বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত ঘরের তাপমাত্রায় প্রিন্ট করি৷ কিন্তু কোষগুলোকে এই তাপমাত্রায় অনেকদিন রাখলে কোষের ক্ষতি হতে পারে৷ সে কারণে আমরা প্রিন্ট করার পর বাইপাসকে ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রার বায়োরিয়েক্টরে রেখে দেই৷''

মাটিয়ু গ্রেবা/জেডএইচ